সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জের, বৌদির মুন্ডচ্ছেদ করল দেওর, কাটা মুন্ডু নিয়ে খোলা রাস্তায় ঘোরাঘুরি
সকাল সকাল ডেস্ক। বাসন্তী : বৌদির মাথা কেটে খুন দেওরের। কাটা মুন্ডু নিয়ে রাস্তা দিয়ে থানায় রওনা অভিযুক্ত যুবক বিমল মন্ডলের। দক্ষিন ২৪ পরগনার বাসন্তীর ৬ নম্বর ভরতগড়ের ঘটনা। শনিবার সকালের এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে বাসন্তী থানার পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে। কী কারণে এই খুন খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক অশান্তির জেরেই বৌদিকে খুন করেছে অভিযুক্ত যুবক বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। নিহত মহিলার নাম সতী মন্ডল(৫৫)। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সম্পত্তি নিয়ে গিরীন মন্ডলের পরিবারের সঙ্গে বিবাদ ছিল ভাই বিমল মন্ডলের পরিবারের। মাস চারেক আগে মারা যায় গিরিন। দাদা মারা গেলেও বিবাদ মেটেনি বিমলের পরিবারের সঙ্গে। বৌদি সতী মণ্ডলকে ভিটে ছাড়া করার জন্য সর্বদা উদগ্রীব হয়ে ছিল বিমল ও তার পরিবার। নানা অছিলায় অশান্তি করত সতী ও তার পরিবারের সঙ্গে। শনিবার সকালেও শুরু হয় অশান্তি। এদিন সকালে গাছের আম পাড়াকে কেন্দ্র করে অশান্তি শুরু হয়। সতী প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানাতে গেলে বিমল ঘর থেকে ধারালো অস্ত্র এনে সরাসরি বৌদির গলায় কোপ বসায়। গলা কেটে মাথা আলাদা করে দেয় দেহ থেকে। এরপর সেই নর মুন্ডু নিয়ে দিনে দুপুরে খোলা রাস্তায় এদিক ওদিক ছোটাছুটি করে অভিযুক্ত। এরপর সেই মুন্ডু নিয়ে বাসন্তী থানার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় সে। এরমধ্যেই এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। ভয়াবহ দৃশ্য দেখে আঁতকে ওঠেন এলাকার মানুষজন। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড দেখে বাসন্তী থানার পুলিশ রাস্তা থেকে বিমলকে গ্রেফতার করে। উদ্ধার করে কাটা মুন্ডু। এরপর ঘটনাস্থলে গিয়ে সতীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সঠিক কী কারণে এই ঘটনা তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এই ঘটনায়।
বড় নেতারা না ডাকলে আমি যাই না, অভিমানী সুর দিলীপের কন্ঠে
সকাল সকাল ডেস্ক। কলকাতা : ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ারে সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই দিন প্রধানমন্ত্রীর সভায় দেখা যায়নি দিলীপ ঘোষকে। এবার বঙ্গে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। সাম্প্রতিক কিছু দিন ধরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পাশে দেখা যাচ্ছে না দিলীপ ঘোষকে। এ বিষয়ে শনিবার দিলীপকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, “বড় নেতারা না ডাকলে আমি যাই না। বড় নেতাদের মান-সম্মান আছে। তাঁরা যাদের ডাকেন, তারা যায়। আমি প্রয়োজনে যাই। আমার প্রয়োজন হয় না। নিজে সংগঠনের কাজ করি। প্রয়োজন পড়লে তাঁরা ডাকেন, কী করতে হবে বলেন। আমরা তা পালন করি মাত্র।” দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, “আমাদের দলের একটা শৃঙ্খলা আছে। যে বৈঠকে-অনুষ্ঠানে যেতে বলা হয়। সেখানেই যায় কর্মীরা। নেতারা কোথায় থাকবেন, দল ঠিক করে। আমরা সেটাই মেনে চলি, ওটাকেই শৃঙ্খলা বলি।”
১৪ বছর আগে প্রতিবেশীকে খুন, প্রৌঢ়কে যাবজ্জীবন সাজা দিল আদালত
সকাল সকাল ডেস্ক। হুগলি : ইটের আঘাতে খুন হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। সেই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল কাশিনাথ মণ্ডল নামে অভিযুক্তকে। মামলায় দোষী সাব্যস্ত হল সে। শনিবার যাবজ্জীবন সাজা শোনাল চন্দননগর আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট। দীর্ঘ ১৪ পর ওই খুনের ঘটনায় সাজা হল। ২০১১ সালের ২৬ জুলাই হুগলির তারকেশ্বর বাসস্ট্যান্ডে দুই প্রৌঢ়ের মধ্যে বচসা হয়েছিল। দুজনের বাড়িই তারকেশ্বর মুক্তারপুর এলাকায়। বচসা চলাকালীন রাস্তায় পড়ে থাকা ইট দিয়ে আঘাত করা নবকুমার খাঁড়া নামে ওই ব্যক্তিকে। সেই আঘাতে মৃত্যু হয় তাঁর। খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ কাশিনাথ মণ্ডল নামে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। গত ৭ মে চন্দননগর আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে এই খুনের মামলা উঠেছিল। বিচারক জগৎজ্যোতি ভট্টাচার্য অভিযুক্তকে দ্রুত হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে ফের কাশিনাথ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে মোট ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। শনিবার বিচারক ওই ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন। এছাড়াও ১০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। দীর্ঘদিন পর বিচার পেয়ে খুশি মৃতের পরিবার। সাজা ঘোষণার পর নবকুমারের ছেলে তরুণকুমার খাঁড়া বলেন, “প্রতিবেশী কাশিনাথের সঙ্গে কোনও শত্রুতা ছিল না। নেহাতই রাগের বশে বাবাকে খুন করা হয়। এর আগেও একজনকে ছুরি মারায় অভিযুক্ত ছিলেন তিনি। সেই যাত্রায় তিনি বেঁচে গেলেও বাবাকে খুন করার উপযুক্ত শাস্তি পেয়েছেন।”
জেলা সংগঠনে রদবদল, সভাপতি-চেয়ারম্যানদের নাম ঘোষণা তৃণমূলের
সকাল সকাল ডেস্ক। কলকাতা : রাজ্যে বেশ কিছু জেলায় সভাপতি ও চেয়ারম্যান বদল করে শুক্রবার তালিকা প্রকাশ করল তৃণমূল। বেশ কয়েকটি জেলায় রদবদল হলেও, কিছু কিছু জায়গায় কোনও বদল করা হয়নি। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে উত্তর কলকাতা জেলার ক্ষেত্রে ৯ সদস্যের কোর কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও রাজ্য কমিটিতে নতুন করে রাজ্য সহ–সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সম্পাদক মিলিয়ে ১৪ জন পদাধিকারীকে জায়গা দেওয়া হয়েছে। জেলা সভাপতি বদল করা হয়েছে হাওড়াতেও। তবে তা হাওড়া গ্রামীণে নয়, হাওড়া শহর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বদল করা হয়েছে। কল্যাণ ঘোষের পরিবর্তে গৌতম চৌধুরীকে দেওয়া হয়েছে হাওড়া শহর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদ। নতুন তালিকায় নজরে পড়ার মতোই কিছু ঘটনা রয়েছে। যেমন শুভেন্দু অধিকারীর জেলা বলে পরিচিত পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। কাঁথি সাংগঠনিক জেলায় পীযূষ পণ্ডা ছিলেন জেলা সভাপতি। তা অপরিবর্তিত রাখা হল। কিন্তু তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বদল করে দেওয়া হল। অসিত চট্টোপাধ্যায়ের পরিবর্তে সেখানে জেলা সভাপতি করা হয়েছে সুজিত কুমার রায়কে।
বিকাশ ভবনে জোরদার পুলিশি ব্যবস্থা, র্যাফও নামানো হয়েছে
সকাল সকাল ডেস্ক। কলকাতা : আন্দোলনকারীরা যাতে বিকাশ ভবনের ভেতরে প্রবেশ করতে না পারেন, সেই কারণে মূল গেট-সহ বিভিন্ন জায়গায় নতুন করে ব্যারিকেড করল পুলিশ। বিকাশ ভবনের কর্মীদের যাতে ঢুকতে বা বার হতে অসুবিধা না হয়, তারও ব্যবস্থা করছে তারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে র্যাফ নামানো হয়েছে। বিকাশ ভবনের সামনে অনেক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তারা ব্যারিকেড করে রেখেছে মূল গেটের সামনে। শুধুমাত্র বিকাশ ভবনের কর্মচারী ছাড়া অন্য কেউ ভেতরে ঢুকতে না পারেন, সেই দিকে কড়া নজর রাখা হয়েছে। প্রত্যেক কর্মীর পরিচয়পত্র যাচাই করার পরই বিকাশ ভবনে ঢোকার অনুমতি মিলছে।
ধৈর্য ধরেছিল পুলিশ; কিন্তু আন্দোলনকারীরা সরেননি, প্রতিক্রিয়া সুপ্রতিম সরকারের
সকাল সকাল ডেস্ক। কলকাতা : বাধ্য হয়েই বলপ্রয়োগ করা হয়েছে, সংযতও থেকেছে পুলিশ। চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ওপর লাঠিচার্জ প্রসঙ্গে শুক্রবার এই মন্তব্য করলেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার। বৃহস্পতিবার রাতে বিকাশ ভবনের সামনে লাঠিচার্জের প্রসঙ্গে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে সুপ্রতিম সরকার বলেছেন, ‘‘পুলিশ প্রথম থেকেই সংযত ছিল।’’ কেন লাঠিচার্জ করল পুলিশ, তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘১০ দিন ধরে চাকরিহারা আন্দোলনকারীরা পালা করে বিকাশ ভবনের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছিলেন। পুলিশ-প্রশাসন সহযোগিতা করেছে। তবে গতকাল পরিস্থিতি পাল্টে যায়। চাকরিহারাদের একাংশ ব্যারিকেড ভেঙে বিকাশ ভবন চত্বরে ঢোকার চেষ্টা করেন। জোরপূর্বক ভেতরে ঢোকার চেষ্টা হয়। পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিও করা হয়।” সুপ্রতিম বলেন, ‘‘বিকেল পর্যন্ত পুলিশ সংযত ছিল। কিন্তু ছুটি হওয়ার পরও প্রায় ৫০০-৬০০ জন বিকাশ ভবনে আটকে পড়েন। তাঁদের বার করার সময়ই আন্দোলনকারীরা পুলিশের উপর চড়াও হন। পরিস্থিতি সামাল দিতেই বাধ্য হয়ে বলপ্রয়োগ করা হয়েছে।’’ এদিকে, চাকরিহারাদের তরফে মেহবুব মণ্ডল, চিন্ময় মণ্ডলেরা শুক্রবার বিকাশ ভবনের সামনে থেকে বলেন, “সত্যি বলেছি বলেই আমরা মার খেয়েছি।’’
প্রয়াত তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা
সকাল সকাল ডেস্ক। কলকাতা: ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে বুধবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। শেষ রক্ষা হল না। বৃহস্পতিবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নদিয়ার তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা। এদিন সকালে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রয়াত হয়েছেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে নদিয়ার জেলা রাজনীতিতে তো বটেই, রাজ্য রাজনীতিতেও নেমে এসেছে শোকের ছায়া। জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক মাস ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। কয়েক মাস আগে বেঙ্গালুরুতে যান চিকিৎসার জন্য। ফের পুর্ণোদ্যমে দলীয় কাজকর্ম শুরু করেন। কিন্তু বুধবার ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার সকালে খবর পাওয়া যায় তাঁর প্রয়াণের।
রাজ্যপাল বোস সম্পূর্ণ সুস্থ, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন
সকাল সকাল ডেস্ক। কলকাতা বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছে, তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ। তবে কিছুদিন কাজের চাপ কম রাখতে হবে। গত ২২ এপ্রিল থেকে হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে এই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন রাজ্যপাল বোস। ২৪ দিনের মাথায় এই হাসপাতাল থেকে ছুটি রাজ্যপালের। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার মেডিক্যাল বুলেটিনে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন,এদিনই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তাঁর শরীরে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ১০০ শতাংশ। তাঁর রক্তচাপ এবং রক্তে শর্করার মাত্রাও স্বাভাবিক রয়েছে। তবে পরবর্তী শারীরিক পরীক্ষা না হওয়া অবধি কম কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গত ২২ এপ্রিল বাম কাঁধে যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বোস। সেদিন পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তিনি। অতিরিক্ত কাজের চাপে অসুস্থ বোধ করেন। বাম কাঁধে ব্যথা ও বুকে অস্বস্তি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখা যায়, হৃদযন্ত্রে সামান্য সমস্যা রয়েছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চিকিৎসা চলে।
পথকুকুরকে মারার প্রতিবাদ করায় পিটিয়ে ‘খুন’ করা হল বিষ্ণুপুরের তাঁতশিল্পীকে
সকাল সকাল ডেস্ক। বাঁকুড়া পথকুকুরকে খাওয়ানো নিয়ে অশান্তি। প্রতিবাদী বিষ্ণুপুরের তাঁতশিল্পী সুধীন পালকে পিটিয়ে ‘খুন’ করা হল। পুলিশ অভিযুক্ত প্রতিবেশী দুই ভাই শৈলেন পাল ও তোতন পালকে আটক করেছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহরের কৃষ্ণগঞ্জ এলাকায়। বিষ্ণুপুর শহরের কৃষ্ণগঞ্জের বাসিন্দা প্রৌঢ় সুধীনবাবু এবং তাঁর ভাই অমিতাভ পাল পথ কুকুরদেরকে নিয়মিত খাবার দিতেন। তাঁদের বাড়ির সামনে কুকুরগুলি ছড়িয়েছিটিয়ে থাকে। এই নিয়ে প্রতিবেশী শৈলেন পাল ও তোতন পালের সঙ্গে বিবাদও হত। ওই দুই ভাই কিছুতেই কুকুরকে খাওয়ানো পছন্দ করে না বলে অভিযোগ। তাই নিয়ে মাঝেমধ্যেই বচসাও হত দুই পরিবারের মধ্যে। মঙ্গলবার রাতে অমিতাভবাবু দেখেন, দুই ভাই শৈলেন ও তোতন কুকুরদের ইট ছুঁড়ে মারছে। অমিতাভবাবু তার প্রতিবাদ করতেই প্রথমে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বাঁচাতে গিয়ে অমিতাভের স্ত্রীও আক্রান্ত হয় বলে দাবি পরিবারের। প্রতিবেশীরা সেসময় বিবাদ থামিয়ে দেন। ঘটনার বিহিতের জন্য অমিতাভবাবু ও পরিবারের সদস্যরা বিষ্ণুপুর থানায় যান। দাদা সুধীনবাবু ঘটনার পর বাড়ি ফিরে ভাইকে মারার ঘটনা শুনে একাই রাস্তায় নেমে ঘটনার প্রতিবাদ জানান। অভিযুক্ত তোতন ও শৈলেন আবার বেরিয়ে আসে। এবার সুধীনবাবুর সঙ্গে বচসা ও হাতাহাতি হয় দুজনের। অভিযোগ, সেসময় দুই ভাই সুধীনকে একা পেয়ে রাস্তার পাশে থাকা ইট দিয়ে বুকে সজোরে আঘাত করে বলে অভিযোগ। তিনি রাস্তাতেই লুটিয়ে পড়েন। সেই মুহূর্তে ওই পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বাড়ি ফিরছিলেন। সুধীন পালকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পাক বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেলেন পূর্ণম
সকাল সকাল ডেস্ক। নিউ দিল্লী – কলকাতা ভারতের কাছে নতিস্বীকার করলো পাকিস্তান। ভারতে ফিরে এলেন প্রায় ২০ দিন আগে পাকিস্তানি সেনার হাতে আটক রিষড়ার জওয়ান পূর্ণম সাউ। বুধবার সকালে ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের পর সাড়ে ১০টা নাগাদ তাঁকে আটারি সীমান্ত দিয়ে ফেরানো হয়েছে। বন্দিদশা থেকে মুক্তি দিয়ে বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম ওরফে পিকে সাউকে ফেরাল পাকিস্তান। ২০ দিন পর মুক্তি পেলেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের হুগলির বাসিন্দাকে বুধবার পাকিস্তান ছেড়ে দেয়। আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারতে ফেরেন তিনি। গত ২৩ এপ্রিল (পহেলগামে জঙ্গি হানার পর দিন) পঞ্জাবের পঠানকোটে কর্মরত অবস্থায় ভুল করে পাকিস্তানে ঢুকে গাছের তলায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন পূর্ণম। তখনই পাক রেঞ্জার্স তাঁকে ধরে। সীমান্তে এমন ঘটলে দু’দেশের সীমান্ত রক্ষীদের মধ্যে ‘ফ্ল্যাগ মিটিং’-এর পরে সংশ্লিষ্ট জওয়ানকে মুক্তি দেওয়াই দস্তুর। কিন্তু পূর্ণমকে তখন ছাড়েনি পাকিস্তান। পূর্ণমকে অবিলম্বে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে পরিবারকে ফোন করে আশ্বাস দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। উত্তরপাড়ায় দলীয় কর্মসূচিতে এসে পূর্ণমকে দেশে ফেরানোর ব্যাপারে আশ্বাস দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সতীশচন্দ্র দুবেও। তিনি বলেছিলেন, ‘‘অভিনন্দনের মতো (বায়ুসেনার পাইলট গ্রুপ ক্যাপ্টেন অভিনন্দন বর্তমান) পূর্ণমকেও ছাড়িয়ে আনা হবে।’’