এয়ার মার্শাল এস শিবকুমার হলেন ভারতীয় বায়ুসেনার প্রশাসনিক প্রধান
নয়াদিল্লি: ভারতীয় বায়ুসেনার প্রশাসনিক প্রধান (এয়ার অফিসার ইন চার্জ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) হলেন এয়ার মার্শাল এস শিবকুমার। এর আগে তিনি বায়ুসেনার ডিজি (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) পদে ছিলেন।
শেফালি জরিওয়ালার বাড়িতে ফরেনসিক দল, তদন্তে মুম্বই পুলিশও
মুম্বই: মডেল-অভিনেত্রী শেফালি জরিওয়ালার আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনায় বিনোদন জগতে নেমেছে শোকের ছায়া। ৪২ বছর বয়সী শেফালিকে শুক্রবার রাতে বুকে ব্যথা অনুভব করার পর মুম্বইয়ের বেলভিউ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আর সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, শেফালির হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মৃত্যু হয়েছে। যদিও এখনও তা সরকারিভাবে নিশ্চিত করা যায়নি। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুপার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে দেরাদুনে রাষ্ট্রপতির অংশগ্রহণ
আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের অষ্টম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে শনিবার দেরাদুনে আয়োজিত এক বিশেষ যোগ অনুশীলন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, “যোগ হল এক সুস্থ ও সুশৃঙ্খল জীবনযাপনের মন্ত্র। এটি শুধু শরীর নয়, মন ও আত্মাকেও সংযুক্ত করে, যার ফলে মানুষের সামগ্রিক উন্নতি ঘটে।”
জনগণনার বিজ্ঞপ্তি জারি কেন্দ্রের
নয়াদিল্লি: কেন্দ্রের তরফে আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। সোমবার জনগণনার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দিল কেন্দ্র। এর ফলে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে আনুষ্ঠানিক সিলমোহর পড়ল। সোমবার ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং জনশুমারি কমিশনার (আরজিসিসিআই) মৃত্যুঞ্জয়কুমার নারায়ণের তরফে বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়।
ভারতে করোনার নতুন ঢেউ এবং চ্যালেঞ্জ
সকাল সকাল ডেস্ক। ডা. আনসার আহমেদ করোনা (কোভিড-১৯)-এর নতুন ঢেউ ভারতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য একটি গুরুতর পরীক্ষা। যদিও টিকাকরণ, পরীক্ষা এবং গণযোগাযোগের স্তরে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে, তবুও অবকাঠামোগত ঘাটতি, অসম প্রবেশাধিকার এবং সামাজিক-অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলি এখনও বিদ্যমান। যদি অতীত থেকে শেখা পাঠ গ্রহণ করে নিরন্তর বিনিয়োগ এবং সুনির্দিষ্ট কৌশল অবলম্বন করা হয়, তবে ভারত কেবল বর্তমান সংকট মোকাবিলা করতে পারবে না, বরং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থিতিস্থাপক এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। সার্স-কোভ-২ ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট কোভিড-১৯ মহামারী বিশ্বব্যাপী ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটিয়েছে। মে ২০২৫ পর্যন্ত ভারতে ৪.৫ কোটিরও বেশি নিশ্চিত কেস এবং ৫.৩৩ লক্ষেরও বেশি আনুষ্ঠানিকভাবে নথিভুক্ত মৃত্যু হয়েছে। এখন নতুন ভেরিয়েন্টগুলির সাথে কোভিড-১৯-এর একটি নতুন ঢেউ ভারতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আবারও গুরুতর চাপে ফেলেছে। ভারতে কোভিড-১৯-এর প্রথম রোগী ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি শনাক্ত হয়েছিল। উহান (চীন) থেকে ফিরে আসা তিনজন মেডিকেল ছাত্রের ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছিল। এরপর বিভিন্ন ভেরিয়েন্ট, যেমন বি.১.৬১৭ (ডেল্টা) এবং বি.১.১.৭ (আলফা) বিশেষ করে ২০২১ সালের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটিয়েছিল। মে ২০২৫-এ সোশ্যাল মিডিয়া রিপোর্ট এবং সরকারি সতর্কতা অনুসারে, জেএন.১-এর মতো নতুন ভেরিয়েন্টগুলির উপস্থিতি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আবারও সতর্ক করে দিয়েছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ এবং ভারতীয় সার্স-কোভ-২ জিনোমিক্স কনসোর্টিয়াম (আইএনএসএসিওজি) জিনোমিক নজরদারি জোরদার করেছে। হাসপাতালগুলিতে গুরুতর শ্বাসযন্ত্রের রোগ এবং ফ্লু-এর মতো লক্ষণযুক্ত রোগীদের উপর নিবিড় নজর রাখা হচ্ছে। যদিও এই ঢেউয়ে হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর হার তুলনামূলকভাবে কম, তবুও মাস্ক পরার পরামর্শ এবং সতর্ক নজরদারি এই ভাইরাসের ক্রমাগত হুমকির প্রমাণ দেয়। এই ঢেউয়ের উত্থানের প্রধান কারণগুলির মধ্যে ভেরিয়েন্টগুলির জেনেটিক পরিবর্তনশীলতা অন্যতম। সার্স-কোভ-২-এর ক্রমাগত মিউটেশনের ক্ষমতা বিদ্যমান ভ্যাকসিন এবং চিকিৎসার কার্যকারিতা হ্রাস করেছে। আইএনএসএসিওজি ক্রমাগত নতুন ভেরিয়েন্ট শনাক্ত করতে কাজ করছে, কিন্তু ১.৩ বিলিয়ন জনসংখ্যার মধ্যে সামগ্রিক জিনোমিক নজরদারি একটি জটিল চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। দ্বিতীয়ত, টিকাকরণের নিজস্ব সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ভারত এ পর্যন্ত বিলিয়ন বিলিয়ন ভ্যাকসিন ডোজ বিতরণ করেছে, কিন্তু বুস্টার ডোজের কম হার এবং গ্রামীণ এলাকায় সীমিত প্রবেশাধিকার প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিয়েছে, যার ফলে পুনরায় সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়েছে। এর সামাজিক এবং অর্থনৈতিক কারণও রয়েছে। পূর্ববর্তী ঢেউ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি, বেকারত্ব এবং অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুবিধা জনগণের দুর্বলতা আরও বাড়িয়েছে, যার ফলে নতুন স্বাস্থ্য উদ্যোগের সাফল্য সীমিত হচ্ছে। ভারতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সামনে বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে স্বাস্থ্য অবকাঠামোর উপর ক্রমবর্ধমান বোঝা অন্যতম। ২০২১ সালের দ্বিতীয় ঢেউ ভারতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্বলতা উন্মোচন করেছে। অক্সিজেন, আইসিইউ বেড এবং ভেন্টিলেটরের ব্যাপক ঘাটতি দেখা গেছে। সরকার ৬০০-এরও বেশি বিশেষ কোভিড-১৯ কেন্দ্র স্থাপন করেছে এবং রেলওয়ে কোচকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রূপান্তরিত করেছে, তবুও গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবা আজও অপর্যাপ্ত। ভারতে ডাক্তার থেকে রোগীর অনুপাত ১:১৭০০ এবং অনেক গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় কর্মীর ব্যাপক অভাব রয়েছে। পরীক্ষা এবং নজরদারির সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। ২০২০ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত ভারতে প্রায় ৪৯ লক্ষ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল, কিন্তু রাজ্যগুলির মধ্যে পরীক্ষা সক্ষমতায় অসমতা রয়ে গেছে। বিহারের মতো রাজ্যগুলিতে পরীক্ষার হার দিল্লির তুলনায় অনেক কম ছিল। জিনোমিক নজরদারি সত্ত্বেও, দ্রুত নির্ণয় এবং একত্রিত পরীক্ষার মতো কৌশলগুলির প্রয়োজনীয়তা রয়ে গেছে যাতে সংক্রমণ সময়মতো নিয়ন্ত্রণ করা যায়। স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা এবং ক্লান্তি সম্পর্কে সবাই অবগত। স্বাস্থ্যকর্মী কোভিড-১৯-এর সবচেয়ে অগ্রভাগে রয়েছেন। বৈশ্বিক তথ্য অনুসারে, মোট মামলার মধ্যে ৪-১২ শতাংশ মামলা স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে নথিভুক্ত হয়েছে এবং ২০২০ সাল পর্যন্ত ভারতে ৯০ জনেরও বেশি ডাক্তার তাদের জীবন হারিয়েছেন। যদিও প্রতিদিন ছয় লক্ষ পিপিই কিট উৎপাদন শুরু হয়েছিল, তবুও গুণমান এবং বিতরণ সংক্রান্ত সমস্যা রয়ে গেছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের শারীরিক এবং মানসিক ক্লান্তি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার স্থিতিস্থাপকতা ক্ষমতার জন্য হুমকি। সামাজিক এবং আচরণগত বাধার সমস্যাগুলি আলাদা। শহুরে এলাকার ঘনবসতি এবং অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কঠিন করে তোলে। ২০২০ সালের লকডাউন অভিবাসন, বেকারত্ব,এবং খাদ্য সংকটের কারণ হয়েছিল। ভুল তথ্য এবং সামাজিক কলঙ্ক মানুষকে পরীক্ষা বা চিকিৎসা থেকে নিরুৎসাহিত করেছিল। সচেতনতা অভিযান শুরু করা হয়েছিল, কিন্তু আচরণগত পরিবর্তন ধীর এবং অসম ছিল। ভারত বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ অভিযান চালিয়েছিল, যেখানে সিরাম ইনস্টিটিউট দ্বারা নির্মিত কোভিশিল্ড প্রধান ছিল। যদিও বুস্টার ডোজের কম হার এবং গ্রামীণ এলাকায় পৌঁছানোর সমস্যা আজও বিদ্যমান। আইসিএমআর আরটি-পিসিআর কিটকে অনুমোদন দিয়েছে এবং র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট শুরু করেছে। সংগৃহীত পরীক্ষা এবং স্ব-পরীক্ষা কিটের মতো ব্যবস্থা সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে সহায়ক হতে পারে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং পোস্ট-কোভিড যত্নের উপর জোর দিয়েছে। সাম্প্রতিক নির্দেশিকাগুলিতে সতর্কতা এবং ভারসাম্যের কৌশলকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। 2021 সালের বাজেটে ওয়ান হেলথ কর্মসূচির সূচনা করা হয়েছিল, যা মানুষ, পশু এবং পরিবেশের সম্মিলিত স্বাস্থ্য দৃষ্টিভঙ্গিকে গুরুত্ব দেয়। এর জন্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অ্যানিমাল বায়োটেকনোলজি একটি বিশেষ কেন্দ্র স্থাপন করেছে। যদিও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ত্রুটি এখনও বিদ্যমান। যেমন জাতীয় স্বাস্থ্য নীতি 2017-এ জুনোটিক মহামারীর আশঙ্কাকে যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। টিবি নিয়ন্ত্রণ এবং টিকাকরণ কর্মসূচিতে প্রভাব পড়েছিল, যেমন 2019 থেকে 2020 সালের মধ্যে টিবি-র ক্ষেত্রে 24 শতাংশের পতন এসেছিল। করোনা মহামারী লিঙ্গ বৈষম্যকে আরও গভীর করেছিল। মহিলাদের চাকরি হারাতে হয়েছিল এবং যত্নের বোঝাও বেশি পড়েছিল। শিক্ষা এবং ভবিষ্যতের পথ স্বাস্থ্য বাজেটকে জিডিপি-র ন্যূনতম 2.5 শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো সময়ের দাবি। ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং বিকেন্দ্রীভূত মডেল গ্রহণ করে প্রতিক্রিয়াকে আরও কার্যকর করা যেতে পারে। উচ্চ মানের পিপিই, পর্যাপ্ত স্টাফিং এবং মানসিক স্বাস্থ্য সুবিধা দেওয়া উচিত। স্বচ্ছ বার্তা এবং সাংস্কৃতিক সংবেদনশীলতার উপর ভিত্তি করে অভিযানগুলি ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে পারে। আয়ুর্বেদ এবং অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিগুলিকে প্রতিরোধে অন্তর্ভুক্ত করে সম্প্রদায়গত প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করা যেতে পারে। ভ্যাকসিন বিতরণ এবং ভেরিয়েন্ট নজরদারিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ভারতের প্রস্তুতিকে সুদৃঢ় করতে পারে।
দেশে কোভিডে মৃত্যু বেড়ে ৩৭, ভয় ধরাচ্ছে নতুন সংক্রমণ
সকাল সকাল ডেস্ক। নয়াদিল্লি : ভারতে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৭। অন্যদিকে, মঙ্গলবার গোটা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৪,০২৬। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৫ জন। তবে একদিনে একসঙ্গে একাধিক কোভিড আক্রান্তের মৃত্যু ভয় ধরাচ্ছে। কেন্দ্রের স্বাস্থ্য ও পরিবার মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সবথেকে বেশি করোনা আক্রান্ত রোগীর খোঁজ মিলেছে গুজরাটে। সেখানে একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৯ জন। অন্যদিকে, কেবল গুজরাটে বর্তমানে কোভিড রোগীর সংখ্যা ৩৭২। এর পরেই একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে কর্নাটক। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫৮ জনের শরীরে কোভিড-১৯ এর সন্ধান মিলেছে। তবে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যার নিরিখে প্রথম স্থানে কেরল। সে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪১৬ জন। এর পরই স্থান মহারাষ্ট্রের। মঙ্গলবার সে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হিসেবে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪৯৪ জন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে গুজরাট, চতুর্থ দিল্লি। সেখানে যদিও গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত বেশ কয়েক জন রোগী সেরে ওঠায় আক্রান্তের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৯৩।
মুম্বইকে হারিয়ে আইপিএলের ফাইনালে পঞ্জাব, দেখা মিলবে নতুন চ্যাম্পিয়নের
সকাল সকাল ডেস্ক। মুম্বই: আইপিএলের কোয়ালিফায়ারে মুম্বইকে হারিয়ে ১১ বছর পর ফাইনালে গেল পঞ্জাব কিংস। রবিবার রাতে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ৫ উইকেটে জয় পায় পঞ্জাব। জয়ের নায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। ফাইনালে পঞ্জাবের প্রতিপক্ষ বেঙ্গালুরু। ফলে এবারের আইপিএলে দেখা মিলবে নতুন এক চ্যাম্পিয়নের। আহমেদাবাদে টস জিতে প্রথমে মুম্বইকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় পঞ্জাব। শুরুটা ভালো হয়নি মুম্বইয়ের। দলীয় ১৯ রানে রোহিতকে হারায় মুম্বই। এরপর দলের হাল ধরেন জনি বেয়ারস্টো এবং তিলক বর্মা। দু’জনের ব্যাটে এগোতে থাকে মুম্বই। তবে বেয়ারস্টোকে তুলে নেন বিজয়কুমার।ভেঙে যায় ৫১ রানের জুটি। এরপর সূর্যকুমারকে নিয়ে ৭২ রানের জুটি গড়েন তিলক বর্মা। কিন্তু তিন বলের মধ্যে মুম্বই হারায় তিলক ও সূর্যকে। দুইজনই ৪৪ রান করে আউট হন। শেষ দিকে নামান ধীরের ১৮ বলে ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংসে ফলে মুম্বই করে ৬ উইকেটে ২০৩ রান। পঞ্জাবের হয়ে ২ উইকেট নেন ওমারজাই,একটি করে উইকেট পেয়েছেন জেমিসন, স্টয়নিস, চাহাল এবং বিজয়কুমার। ২০৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই প্রভসিমরন সিংকে হারায় পঞ্জাব। এরপর ইংলিশ ও আরিয়া বড় জুটি গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তাদের জুটি ভেঙ্গে দেন অশ্বনী কুমার। আরিয়ার উইকেট তুলে নেন তিনি। কিছুক্ষণ পর ৩৮ রান করে জস ইংলিশও বিদায় নেন হার্দিক পান্ডিয়ার বলে । পঞ্জাবের স্কোর দাঁড়ায় ৭.৫ ওভারে ৭২ রানে ৩ উইকেট। এরপর নেহাল ওয়াধেরাকে নিয়ে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন পঞ্জাবের অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। দুইজনের মারকুটে ব্যাটিংয়ে লক্ষ্যটা সহজ হয়ে যায় পঞ্জাবের। ওয়াধেরা ২৯ বলে ৪৮ রান করে ফিরলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে আক্রমাত্মক ব্যাটিং করে অধিনায়ক আইয়ার দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। আইয়ার ৪১ বলে ৮৭ রানে অপরাজিত থাকেন। পঞ্জাব জয় পায় ৫ উইকেটে। মুম্বইয়ের হয়ে ২ উইকেট পেয়েছেন অশ্বনী কুমার মঙ্গলবার ফাইনালে আইয়ারদের প্রতিপক্ষ কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। দুই দলই এখন পর্যন্ত আইপিএলের শিরোপা জয়ের স্বাদ পায়নি। ফলে এবারের ফাইনালে যে দলই জিতুক আইপিএল পেয়ে যাবে নতুন চ্যাম্পিয়ন।
আগামীকাল জামাইষষ্ঠী, বাজারে জমজমাট বিকিকিনি
সকাল সকাল ডেস্ক। আগরতলা : রাত পোহালেই বাঙালির এক ঐতিহ্যবাহী পার্বন জামাইষষ্ঠী। আগে এই পার্বণের বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই শাশুড়ি মায়েরা এ বাড়ি ও বাড়ি ঘুরে ঘুরে ষষ্ঠীর উপকরণ সংগ্রহ করতেন। বর্তমানে ব্যস্ত জীবনের ছন্দে বাজারেই পাওয়া যাচ্ছে ষষ্ঠীর উপকরণ। রাজধানী আগরতলার বিভিন্ন বাজারে ষষ্ঠীর উপকরণের পসরা সাজিয়ে বসেছেন অনেকেই। রবিবার জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লা পক্ষের ষষ্ঠী তিথি। এই দিন বাঙালির ঘরে ঘরে পালিত হয় ঐতিহ্যবাহী পার্বণ যার পোশাকি নাম জামাইষষ্ঠী। মেয়ের জামাই এর প্রতি সম্মান প্রদর্শন, ভালবাসা এবং পরিবারের সঙ্গে একসাথে সময় কাটানো – এই পার্বণের মূল ভাবনা। ষষ্ঠী তিথিতে সকালে উপোস করে ষষ্ঠীর পূজো দেন শাশুড়ি মায়েরা। ষষ্ঠী পূজোর উপকরণ বট গাছের চারা, বাঁশের করুল, তালপাতার পাখা, ধান, দুর্বা, করমচা ফল, পাঁচ রকমের আস্ত ফল, আম, লিচু, জাম, কাঁঠাল প্রভৃতি মরশুমি ফল, পান সুপারি এবং উপহার সামগ্রী হিসেবে নতুন বস্ত্র। এই সেদিনও জামাইষষ্ঠীর বিভিন্ন উপকরণ সংগ্রহে শাশুড়ি মায়েদের এ বাড়ি ও বাড়ি ঘুরঘুর করতে দেখা যেত। এখন ডটকমের যুগ। জীবনের ছন্দে সবাই ব্যস্ত। তাই জামাইষষ্ঠীর উপকরণ এখন বাজারেই পাওয়া যাচ্ছে। শনিবার রাজধানী আগরতলার বিভিন্ন বাজারে জামাইষষ্ঠীর উপকরণের অস্থায়ী বাজার দেখা গেল। সাধারণত গ্রাম গঞ্জের মানুষরাই এই সমস্ত উপকরণ সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে এসেছেন। তাদের কাছে রয়েছে বাঁশকরুল, করমচা ফল, বট গাছের চারা, ধান, দুর্বা থেকে শুরু করে তিল হরতকি সবকিছু।এমনকি সংশ্লিষ্ট উপকরণ দিয়ে বানানো মুঠাও বিক্রি করছেন তারা।প্রতিটি মুঠা বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ৩০ টাকায়। সাধ এবং সাধ্যের মধ্যে সামঞ্জস্য রেখে মানুষ ক্রয়ও করছেন। এক বিক্রেতা জানান, জামাইষষ্ঠীর উপকরণ গ্রাম থেকে সংগ্রহ করে বিক্রি করে দুই পয়সা লাভ কামানোর জন্যই বাজারে নিয়ে এসেছেন তিনি। বিজিকিনি ভালোই বলে জানান তিনি। উল্লেখ্য, ডটকমের এই যুগের সাথে সাজুজ্য রেখে বর্তমানে অনেক পরিবারকেই হোটেল বা রেস্তোরাঁয় জামাইষষ্ঠীর আয়োজন করতে দেখা যায়। এই উপলক্ষে হোটেল এবং রেস্তোরাঁগুলিতেও জামাইষষ্ঠীর বিশেষ মেনু থাকে। তবে অধিকাংশ পরিবারই সাধ এবং সাধ্যের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রেখে বাড়ি ঘরেই সারেন জামাইষষ্ঠীর পার্বণ।
আইপিএল এলিমিনেটর প্রিভিউ: গুরুত্বপূর্ণ তারকাদের ছাড়াই লড়াইয়ে নামছে গুজরাট টাইটানস এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স
শুক্রবার আইপিএলের ১৮তম আসরে গুজরাট টাইটানস এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্স মুল্লানপুরের মহারাজা যাদবীন্দ্র সিং স্টেডিয়ামে এলিমিনেটরে খেলতে নামছে।
টাইটানস ইতিমধ্যে দুটি ফাইনালে উঠেছে, ২০২২ সালে শিরোপা জিতেছে এবং পরের বছর রানার্স–আপ হয়েছে। এদিকে, এমআই আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে সফল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির মধ্যে একটি – তারা পাঁচটি শিরোপা চেন্নাই সুপার কিংসের সাথে যৌথভাবে সর্বোচ্চ।
থাইল্যান্ড ওপেন ২০২৫: উন্নাতি হুডা, মালবিকা বনসোদ দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায়
ব্যাংকক: বৃহস্পতিবার সুপার ৫০০ টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় রাউন্ডে উচ্চতর র্যাঙ্কিং শাটলারদের কাছে সরাসরি গেমে পরাজিত হওয়ার পর থাইল্যান্ড ওপেন থেকে বেরিয়ে গেলেন ভারতীয় শাটলার উন্নাতি হুডা এবং মালবিকা বনসোদ। ১৭ বছর বয়সী উন্নাতি, ২০২২ ওড়িশা মাস্টার্স এবং ২০২৩ আবুধাবি মাস্টার্স বিজয়ী, থাইল্যান্ডের শীর্ষ বাছাই পর্ণপাউই চোচুওংয়ের সঙ্গে কোনও প্রতিযোগিতা করতে পারেননি, মাত্র ৩৯ মিনিটে ১৪-২১, ১১-২১ ব্যবধানে হেরে যান।