মেসির গোল, জয়ে ফিরল ইন্টার মায়ামি
সকাল সকাল ডেস্ক। আঘাত সারিয়ে ফের মাঠে নামলেন লিওনেল মেসি, আর তাতেই ফিরল ইন্টার মায়ামির জয়। রবিবার লস অ্যাঞ্জেলস গ্যালাক্সির বিরুদ্ধে ৩-১ গোলে জিতল মায়ামি। প্রথমার্ধে জর্দি আলবার গোলে এগিয়ে যায় মায়ামি। দ্বিতীয়ার্ধে লস অ্যাঞ্জেলস সমতা ফেরালেও শেষ মুহূর্তে মেসির জাদুতে ম্যাচ ঘুরে যায়। ৮৪ মিনিটে দুর্দান্ত বাঁ-পায়ের শটে গোল করেন তিনি। ৮৯ মিনিটে ব্যাকহিলে সুয়ারেজকে পাস দিয়ে অ্যাসিস্টও করেন মেসি। এই জয়ে ২৪ ম্যাচ শেষে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় চতুর্থ স্থানে উঠে এল মায়ামি। মেসির অনুপস্থিতিতে আগের ম্যাচে ওরল্যান্ডো সিটির কাছে হেরেছিল দল।
বর্ধমান সড়ক দুর্ঘটনা: নিহত ১১ জন তীর্থযাত্রীর মরদেহ ফিরল বিহারে
সকাল সকাল ডেস্ক। পূর্ব বর্ধমানের নালা ফেরিঘাটে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো বিহারের পূর্ব চম্পারণ জেলার ১১ জন তীর্থযাত্রীর মরদেহ শনিবার গভীর রাতে নিজ গ্রামে পৌঁছল। একে একে সাতটি অ্যাম্বুলেন্সে মরদেহ আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়ল পরিবার ও গ্রামবাসী। তীর্থযাত্রীরা দেবঘর ও বাসুকিনাথ দর্শন সেরে গঙ্গাসাগর থেকে ফিরছিলেন। ফেরার পথে এনএইচ-১৯-এ দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে তাঁদের বাস উল্টে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ১১ জনের, আহত হন অন্তত ৩৫ জন। আহতদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা চলছে। মৃতদের মরদেহ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহায়তায় মোতিহারিতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছেন। রবিবার সরকারি সহায়তায় সম্পন্ন হবে শেষকৃত্য।
বিক্রম-ঐন্দ্রিলা ফের ছোটপর্দায়, এবার জুটিতে সঞ্চালনা
সকাল সকাল ডেস্ক। কলকাতা দীর্ঘ দেড় দশকের বন্ধুত্ব, পর্দায় অগণিত জনপ্রিয় মুহূর্ত—আবারও একসঙ্গে ছোটপর্দায় ফিরছেন অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায় ও অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা সেন। তাঁদের শেষ একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল ‘ফাগুন বউ’ ধারাবাহিকে। এবার আর ধারাবাহিক নয়, বরং নতুন এক রিয়ালিটি শো-এ সঞ্চালক হিসেবে হাজির হচ্ছেন এই প্রিয় জুটি। জি বাংলার নতুন গেম শো ‘দশ দিনে দশ লাখ’-এর সঞ্চালনা করবেন তাঁরা। নামেই বোঝা যাচ্ছে, এটি একটি গেম শো হলেও একেবারে আলাদা আঙ্গিকে। এটি কাপল গেম শো, যেখানে প্রতিযোগী দম্পতিদের নানা মজাদার খেলার পাশাপাশি দর্শকের কাছে বিশেষ আকর্ষণ হয়ে থাকবে বিক্রম-ঐন্দ্রিলার উপস্থাপনা ও তাঁদের দীর্ঘদিনের পরিচিত রসায়ন। টেলিভিশনের দর্শকদের কাছে এই জুটি বহু আগেই জনপ্রিয়তা কুড়িয়েছিল। মাঝখানে দীর্ঘ সময় তাঁদের একসঙ্গে দেখা না গেলেও বাস্তব জীবনের বন্ধুত্ব অটুট থেকেছে। সেই বন্ধুত্বের ছায়া আবারও পড়তে চলেছে টিভির পর্দায়। দর্শকদের প্রশ্ন, ফিরবে কি আগের মতোই সেই পুরনো ম্যাজিক? উত্তর মিলবে জি বাংলার নতুন শো-এ।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে উদযাপন করল ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস
সকাল সকাল ডেস্ক। কলকাতা, ১৫ আগস্ট, ২০২৫: দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে সদর দফতরে গার্ডেন রিচে যথাযোগ্য মর্যাদায় ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়। শ্রী অনীল কুমার মিশ্র, জেনারেল ম্যানেজার, দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স, সিভিল ডিফেন্স, সেন্ট জন অ্যাম্বুল্যান্স ব্রিগেড এবং ভারত স্কাউটস অ্যান্ড গাইডস-এর কনটিজেন্টের প্যারেডে স্যালুট গ্রহণ করেন। তিনি এ উপলক্ষে সকলকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানান। জেনারেল ম্যানেজার বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে, যাকে ‘ব্লু চিপ রেলওয়ে’ নামেও ডাকা হয়, ভারতের রেলওয়ের শীর্ষ তিনটি সর্বোচ্চ মালবাহী লোডিং অঞ্চলের মধ্যে একটি। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে ২১২.৩৭ মিলিয়ন টন মালবাহী পণ্য পরিবহন করেছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই পর্যন্ত ১৩৬ কিলোমিটার ডাবলিং ও তৃতীয় লাইন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। যাত্রী সুবিধা বৃদ্ধির জন্য ৪৯টি ফুটওভারব্রিজ, ২২টি লিফট এবং ১৩টি এস্কেলেটর বিভিন্ন স্টেশনে চালু হয়েছে। এছাড়া ৪২টি প্ল্যাটফর্মের উচ্চতা বৃদ্ধি, ৩৩টির দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি এবং ৬৯ স্টেশনে ১৮৩টি প্ল্যাটফর্ম শেড নির্মাণ করা হয়েছে। অতিরিক্ত যাত্রী চাপ মোকাবিলায় চলতি অর্থবছরে ৪৮৭টি বিশেষ ট্রেন চালানো হয়েছে। যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৮টি রোড ওভার ব্রিজ এবং ৩৮টি রোড আন্ডার ব্রিজ নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে এবং ৪৫টি লেভেল ক্রসিং বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া ৬ জোড়া ভান্ডে ভারত এক্সপ্রেস চালু হয়েছে। ৭২টি স্টেশন ‘অমৃত ভারত স্টেশন স্কিম’-এর অধীনে উন্নয়নাধীন এবং ১৩২টি স্টল ও ৫০টি ট্রলি ‘ওয়ান স্টেশন ওয়ান প্রোডাক্ট’-এর আওতায় কার্যকর করা হয়েছে। রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স-এর বিশেষ প্রচেষ্টা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, “অপারেশন নन्हে ফেরিশতে” এবং “অপারেশন জীবন রক্ষা” ক্যাম্পেইনে ৪৯ জন যাত্রীর জীবন বাঁচানো হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের টিবি নির্মূল অভিযানের আওতায় ১৯০টি সচেতনতামূলক ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।এছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে “হর ঘর তিরঙ্গা” অভিযানে যুক্ত ছিল। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও দেশাত্মবোধক পরিবেশনা সদর দফতরের সাংস্কৃতিক দল এবং ভারত স্কাউটস অ্যান্ড গাইডস-এর সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত হয়। স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়েছে খড়গপুর, আড়ড়া, চক্রধরপুর এবং রাঁচি বিভাগীয় কার্যালয়েও।
স্বাধীনতা দিবসে রাজ্যপালের আশ্বাস: পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে
সকাল সকাল ডেস্ক।, ১৫ আগস্ট, ২০২৫ বারাকপুর: ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যার দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। শুক্রবার বারাকপুরের ঐতিহাসিক গান্ধী ঘাটে জাতীয় পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তিনি। অনুষ্ঠানে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ও একাধিক প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারাকপুরের তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিক। রাজ্যপাল সাংবাদিকদের জানান, ভিনরাজ্যে গিয়ে কাজ করা বাংলাভাষী শ্রমিকদের বিভিন্ন সমস্যার বিষয়টি প্রশাসনিক স্তরে আলোচিত হচ্ছে। তিনি আশ্বাস দেন, এই সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধান হবে এবং বিষয়টি যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে প্রশাসন। তবে ভিনরাজ্যে বাঙালি শ্রমিকদের উপর পুলিশের alleged অত্যাচারের বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য করা হয়নি। সাংসদ পার্থ ভৌমিক রাজ্যপালের মন্তব্য প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, স্বাধীনতার ইতিহাসে বাংলার অবদান অসামান্য। কিন্তু আজও বিজেপি শাসিত বহু রাজ্যে বাঙালি শ্রমিকরা নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন, শুধুমাত্র তারা বাংলা ভাষায় কথা বলছে বলে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, আন্দামানের সেলুলার জেলের বন্দি তালিকা থেকে বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী বারীন্দ্রকুমার ঘোষ ও উল্লাসকর দত্তের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। পার্থ ভৌমিকের মতে, স্বাধীনতার ৭৯ বছর পরও বাংলা ভাষা ও বাঙালি পরিচয় রক্ষার জন্য লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে। এদিনের অনুষ্ঠানে পতাকা উত্তোলনের পাশাপাশি গান্ধী ঘাটের ঐতিহ্য এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার ভূমিকা স্মরণ করা হয়। রাজ্যপালের মুখে পরিযায়ী শ্রমিক প্রসঙ্গ ওঠায় স্বাধীনতা দিবসের আড়ালে রাজনৈতিক টানাপোড়েনও নতুন মাত্রা পেল। সাংসদ মন্তব্য করেন, রাজ্যপালের আশ্বাস দেখেই ভালো লাগছে, তবে যাদের উপর তিনি ভরসা করছেন, তাদের প্রতি বাংলার মানুষের আস্থা নেই।
ফুটবল মাঠে রেফারিকে লাথি, কটাক্ষ শুভেন্দুর
(সকাল সকাল ডেস্ক) কলকাতা, ১৬ আগস্ট : মেদিনীপুরে ফুটবল মাঠে রেফারিকে প্রকাশ্যে লাথি মারার অভিযোগ ঘিরে রাজনৈতিক তোলপাড়। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সৌমেন খানের ভাইপো রাজা খান। ভিডিয়ো-সহ ঘটনা প্রকাশ্যে এনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এক্স পোস্টে লেখেন— “যাকে মারধর করা হয়েছে তিনি লক্ষণ মান্ডি, যিনি খড়্গপুর সাব ডিভিশন রেফারি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ও পেশায় স্কুল শিক্ষক। তিনি তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ।” তিনি আরও বলেন, পুলিশ প্রশাসনের প্রশ্রয়ে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এসব করছে। একইসঙ্গে তপশিলি জাতি ও উপজাতি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইন, ১৯৮৯ এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা অনুযায়ী কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানান। শুভেন্দুর কটাক্ষ— “রেফারিকে আক্রমণ করা তৃণমূলের সংস্কৃতি। ভোটের ময়দানে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ হোক বা ফুটবল মাঠে রেফারিকে লাথি মারা—সবেতেই একই মানসিকতা।”
খেলা হবে দিবস উদযাপিত, মুখ্যমন্ত্রীর অভিনন্দন বার্তা
(সকাল সকাল ডেস্ক) কলকাতা, ১৬ আগস্ট : রাজ্যজুড়ে শনিবার পালিত হল ‘খেলা হবে দিবস’। এই উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে বার্তা দিয়ে সমস্ত ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়াপ্রেমী এবং মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, মহামেডান স্পোর্টিং সহ শহর-গ্রামের সব ক্রীড়া ক্লাবকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। তিনি উল্লেখ করেন, ২০১১ সালের পর থেকে বাংলায় ক্রীড়াক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। ফুটবল, জিমন্যাস্টিক্স, যোগব্যায়াম, আর্চারি, টেবিল টেনিস সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাতীয় স্তরে সাফল্য এসেছে। যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরের বাজেটও ১২৬ কোটি থেকে বেড়ে ৮৪০ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। বর্তমান সরকারের সময়ে ৫৮টি স্টেডিয়াম, ৪২টি যুব হোস্টেল, ৭৯৫টি মিনি ইন্ডোর স্টেডিয়াম, ৪ হাজারের বেশি মাল্টি-জিম, ৬টি সুইমিং পুল ও ৪২৩টি খেলার মাঠ তৈরি হয়েছে। ফুটবল, মহিলা ফুটবল, তীরন্দাজি, লন টেনিস, টেবিল টেনিস, সাঁতার, রাইফেল শ্যুটিং ও ব্যাডমিন্টনের জন্য ৮টি স্পোর্টস অ্যাকাডেমি চালু হয়েছে। ‘খেলাশ্রী’ প্রকল্পে ৩৪ হাজারেরও বেশি ক্লাবকে অনুদান দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ১,৩৫২টি কোচিং ক্যাম্প, ৩৪টি ক্রীড়া সংস্থা ও বিশিষ্ট খেলোয়াড়দের আর্থিক সহায়তাও করা হচ্ছে। সন্তোষ ট্রফি জয়ী দলের ২১ জন খেলোয়াড়কে রাজ্য পুলিশ বিভাগে চাকরি দেওয়া হয়েছে। সুন্দরবন কাপ, জঙ্গলমহল কাপ, হিমাল-তরাই-ডুয়ার্স কাপ ও রাঙামাটি কাপের মতো টুর্নামেন্টও আয়োজন করা হয়েছে। বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদদের ‘খেল সম্মান’, ‘বাংলার গৌরব’, ‘ক্রীড়াগুরু’, ‘জীবনকৃতি’ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া এভারেস্ট জয়ীদের জন্য ‘রাধানাথ শিকদার-তেনজিং নোরগে অ্যাডভেঞ্চার অ্যাওয়ার্ড’ ও তরুণী পর্বতারোহী ছন্দা গায়েনের স্মরণে ‘সাহসিকতা পুরস্কার’ চালু হয়েছে।
বীরভূমে অবৈধ বালি খাদানের বিরুদ্ধে অভিযান জেলাশাসকের
সকাল সকাল ডেস্ক। নানুর : মঙ্গলবার গভীর রাতে বীরভূমের নানুরের পালিতপুর প্রতাপপুর চক এলাকায় অবৈধ বালি খাদানের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে জেলাশাসক বিধান রায়। অভিযোগ, অজয় সেতু (লোচনদাস সেতু) সংলগ্ন নতুনহাট এলাকায় অজয় নদীর বাঁধ কেটে সাকশন পাইপ ব্যবহার করে বালি উত্তোলন করা হচ্ছিল। অভিযানে ১৫টিরও বেশি ডাম্পার, চারটি মাইনিং মেশিন এবং নৌকায় লাগানো দুটি সাকশন মেশিন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে অজয় নদীতে এই ধরণের অবৈধ বালি উত্তোলন সত্ত্বেও, নানুর থানা বা ব্লক প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এদিকে, মঙ্গলবার গভীর রাতে জেলাশাসক নিজেই অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করে অবহেলার জন্য বেশ কয়েকজন প্রশাসনিক আধিকারিককে তিরস্কার করেছেন জেলাশাসক।
ওবিসি কাঁটা, জয়েন্টের ফলপ্রকাশ করতে পারবে না রাজ্য, জানাল হাই কোর্ট
সকাল সকাল ডেস্ক। কলকাতা জয়েন্টের ফলপ্রকাশ করতে পারবে না রাজ্য, নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের। লিখিত পরীক্ষার ফলপ্রকাশে আপত্তি জানিয়েছে আদালত। ওবিসি এ ও বি অনুযায়ী মেধাতালিকা তৈরি করেছে রাজ্য, যা প্রকাশ করা যাবে না বলেই জানান বিচারপতি কৌশিক চন্দ। গত ২২ মে ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ অনুযায়ী ওবিসি তালিকা (৬৬ শতাংশ সংরক্ষণ) মেনে মেধাতালিকা তৈরি করে প্রকাশের নির্দেশ বিচারপতি কৌশিক চন্দের। বিচারপতি বৃহস্পতিবার প্রশ্ন করেন, “শীর্ষ আদালত একটি নির্দেশ দিয়েছে। আদালত জানতে চায় রাজ্য কী করছে? শীর্ষ আদালতের রায়ের প্রভাব কী পড়বে?” রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা আজই জয়েন্টের ফলপ্রকাশ করব। ২০২৫-এর ভর্তি পরে হোক অসুবিধা নেই। শীর্ষ আদালতের সে নির্দেশ আছে এক্ষেত্রে।” বিচারপতির প্রশ্ন, “সেক্ষেত্রে ওবিসি এ ও বি কী যুক্ত হবে?” উত্তরে রাজ্যের আইনজীবী জানান, “হ্যাঁ, হবে। যাদের সার্টিফিকেট বাতিল হয়েছিল তারা পোর্টালে আবেদন করবেন ফিনান্সিয়াল স্ট্যাটাস জমা দিতে হবে।” বিচারপতি বলেন, “পেন্ডিং অ্যাডমিশনে কীভাবে এই নোটিফিকেশন কাজে লাগাতে পারেন? দুই ক্যটেগরি যুক্ত করলে ফলপ্রকাশ করতে দেব না। কারণ, শীর্ষ আদালত হাই কোর্টের রায় খারিজ করে দেননি। পুরনো ভর্তির ক্ষেত্রে ৭% সংরক্ষণ মানতে হবে। আমার নির্দেশ শীর্ষ আদালতে খারিজ হয়নি সেটা রাজ্য পালন করেনি। সচিবরা তা শুনতে অভ্যস্ত। আদালতের কথা শোনে না।” রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি আরও বলেন, “আপনারা ১ হাজার ১৫১টি সার্টিফিকেট ইস্যু হয়েছে। ১ আগস্ট থেকে এখনও পর্যন্ত ৯৯৯ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। সব হয়ে গেল? খতিয়ে দেখলেন একজন আবেদন করল আর সাত দিনেই হাতে দিয়ে দিলেন? খুব অ্যাকটিভ তো?” সওয়াল জবাব শোনার পর জয়েন্টের ফলপ্রকাশ করা যাবে না বলেই জানান বিচারপতি।
‘ভাষাসন্ত্রাস বন্ধ হবে, কি হবে না?’— সরাসরি প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতার, ক্ষোভে ফুঁসছে বাংলা
ভাষাভিত্তিক বৈষম্যের অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় শাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলাভাষী শ্রমিকদের উপর ‘ভাষা সন্ত্রাস’-এর বিরুদ্ধে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স (প্রাক্তন টুইটার) হ্যান্ডলে তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, “ভাষা সন্ত্রাস বন্ধ হবে, কি হবে না?”