সামাজে মূল্যবোধের অবক্ষয়ের জন্য অনেকাংশে দায়ী সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
উজ্জ্বল কুমার দত্ত। কুমারডুবি, ঝাড়খন্ড। চলে যাই। আমরা হয়তো ‘রিঅ্যাক্ট’ করি, কিন্তু বাস্তব জীবনে পাশে দাঁড়াতে পারি না। দিন-দিন আমরা কম মানবিক হয়ে যাচ্ছি এই প্রযুক্তির স্রোতে ভেসে। আমরা যে বিষয়টিকে অবজ্ঞা করি, সেটাই আজকের সমস্যার মূল। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো মনোযোগকে দেখে পণ্য হিসেবে। যার কনটেন্ট যত বেশি বিতর্কিত, চমকপ্রদ বা অশ্লীল, সেটাই বেশি ভিউ পায়, বেশি ছড়ায়।এর ফল ভয়াবহ। মানসিক স্বাস্থ্য বিপর্যস্ত হচ্ছে, শিশু-কিশোররা ভুল আদর্শ শিখছে এবং সামগ্রিকভাবে সমাজের মূল্যবোধ ক্ষয়ে যাচ্ছে। ফলোয়ার পাওয়ার জন্য আমরা সংস্কৃতি ও নীতিকে বিসর্জন দিচ্ছি। অনেকে বলেন, ‘আমার মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে।’ অবশ্যই, মত প্রকাশের অধিকার আছে, কিন্তু সেটি অপরকে আঘাত করার অধিকার নয়। অনেকেই আজ ছদ্মনামে বা পেজ খুলে মানুষকে অপমান করছে, ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে, নারী বিদ্বেষী বা জাতিবিদ্বেষী মন্তব্য করছে। এক সময়ের সুস্থ বিতর্ক এখন রূপ নিয়েছে ডিজিটাল যুদ্ধে। স্বাধীনতা যতটা গুরুত্বপূর্ণ, তার চেয়েও বেশি জরুরি দায়িত্ববোধ। না হলে এটি সমাজের জন্য ধ্বংসাত্মক হয়ে উঠতে পারে। আমরা কেবল কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের দোষ দিয়ে দায় এড়াতে পারি না। দর্শক হিসেবেও আমাদের দায়িত্ব রয়েছে। আপনি যা দেখেন, তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘সিগন্যাল’ হিসেবে কাজ করে। আপনার প্রতিটি ভিউ, শেয়ার, লাইক প্ল্যাটফর্মকে জানায় যে, আপনি সেই বিষয় পছন্দ করছেন। তাই যদি আমরা ভদ্রতা, জ্ঞানমূলক কনটেন্ট, কিংবা মানবিক বার্তা বেশি দেখতাম, তবে সোশ্যাল মিডিয়াও সেগুলোই ছড়াত বেশি। আমরা সক্রিয়ভাবে সংস্কৃতির রূপ নির্ধারণ করছি। তাই আমাদের সচেতন হতে হবে। (মতামত ব্যক্তিগত)
নারীকেন্দ্রিক উন্নয়নকে শাসনের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করছে সরকার : প্রধানমন্ত্রী
সকাল সকাল ডেস্ক। ভোপাল : নারীকেন্দ্রিক উন্নয়নকে শাসনের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করছে সরকার। জোর দিয়ে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার ভোপালের জাম্বুরি ময়দানে ‘লোকমাতা দেবী অহল্যাবাই মহিলা সশক্তিকরণ মহাসম্মেলন’ অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ভারত কোনও ধরণের প্রক্সি যুদ্ধ সহ্য করবে না এবং এই ধরণের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দৃঢ় জবাব দিতে ভারত দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেছেন, দেশের ১৪০ কোটি মানুষের স্পষ্ট বার্তা হলো, এখন বুলেটের জবাব গোলা দিয়ে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, এখন আমরা সন্ত্রাসীদের ঘরে ঢুকে হত্যা করব এবং যারা তাদের সাহায্য করবে তাদেরও এর মূল্য চোকাতে হবে। সরকারের জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী লোকমাতা দেবী অহল্যাবাঈ হোলকরের আদর্শে অনুপ্রাণিত জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির উপর আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, সরকার শাসনব্যবস্থায় “নাগরিক দেবো ভব” মন্ত্র অনুসরণ করছে এবং নারী-নেতৃত্বাধীন উন্নয়নকে জাতীয় অগ্রগতির ভিত্তি করে তুলেছে। তিনি বলেন, প্রতিটি বড় সরকারি উদ্যোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন নারীরা।
অরুণাচলে ১৩ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস, খাদে যাত্রীবাহী গাড়ি, মৃত্যু দুই শিশু, দুই মহিলা সহ সাতজনের
সকাল সকাল ডেস্ক। ইটানগর : অবিরাম বর্ষার বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট এক ভয়াবহ ঘটনায় অরুণাচল প্ৰদেশে পাহাড় ধসে গভীর খাদে পড়েছে যাত্রীবাহী গাড়ি। এ ঘটনায় দুই শিশু, দুই মহিলা সহ মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে সাতজনের। নিহতদের মধ্যে একজন অন্তঃসত্ত্বাও রয়েছেন। আজ শনিবার প্রাপ্ত খবরে প্রকাশ, গতকাল (শুক্রবার) রাতে পূর্ব কামেং জেলার বানা-সেপ্পা ১৩ নম্বর জাতীয় সড়কে লাগোয়া পাহাড় থেকে এক বড়সড় ভূমিধস সংঘটিত হয়। সে সময় ওই সড়ক দিয়ে যাচ্ছিল চার চাকার একটি মারুতি ফ্রঁক্স (Maruti Fronx) যাত্রীবাহী গাড়ি। ধসের কবলে পড়ে গাড়িটি পাশে গভীর খাদে পড়ে গেলে দুটি পরিবারের দুটি ছোট শিশু, দুই মহিলা সহ সাতজনের করুণ মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে এসডিআরএফ-এর দল নিয়ে জেলার সাধারণ ও পুলিশ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা অকুস্থলে ছুটে যান। উদ্ধারকারী দল নিশ্চিত করেছে খাদে পড়ে ঘটনাস্থলেই গাড়ির সাত যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়ার দরুন উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রশাসনিক সূত্রটি। আধিকারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহতদের শংকর আকা ওরফে সঞ্জু বদি (৩২), তাঁর স্ত্রী তাসুম বদি এবং তাঁদের দুই শিশুসন্তান কাচুং (৫) এবং নিচা (২)। সূত্রের খবর, ধসে অপর পরিবারের জনৈক সিচি ইয়ামের সন্তান-সম্ভবা স্ত্রী এবং দুই শিশুও মারা গেছে। এদিকে একই ভয়াবহ দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়ে একই প্রান্ত দিয়ে যাতায়াতকারী একটি টাটা সুমোর চালক ঠিক সময় সড়কে ধস পড়া প্রান্তের কাছে গাড়ি থামিয়ে দেওয়ায় রক্ষা পেয়েছে। সুমোর কোনও যাত্রী আহত হননি, জানা গেছে আধিকারিক সূত্রে। ভয়াবহ, মৰ্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাজ্যের গৃহমন্ত্রী এবং সেপ্পা পশ্চিমের বিধায়ক মামা নাটুং। গৃহমন্ত্রী মামা নাতুং সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক প্রকাশ করে বলেছেন, ‘এই মর্মান্তিক খবর শুনে আমি খুবই মর্মাহত… শোকাহত পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাই। নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করি। ওম শান্তি শান্তি।’ তিনি ওই এলাকা দিয়ে যাতায়াতকারীদের সতর্ক থাকা এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার সময়, বিশেষ করে জাতীয় সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ অংশে ভ্রমণ এড়াতে অনুরোধ করেছেন। প্ৰসঙ্গত, বানা-সেপ্পা রুট বৰ্ষার মরশুমে অরুণাচল প্রদেশের সবচেয়ে ভূমিধস-প্রবণ এলাকার মধ্যে একটি বলে বিবেচিত হয়। ভঙ্গুর ঢাল, অপর্যাপ্ত নিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং অপর্যাপ্ত রক্ষণাবেক্ষণের মতো দীর্ঘস্থায়ী সমস্যাগুলি এই অপরিহার্য জীবনরেখাটিকে একটি মৌসুমী মৃত্যুফাঁদে পরিণত করেছে।
আগামীকাল জামাইষষ্ঠী, বাজারে জমজমাট বিকিকিনি
সকাল সকাল ডেস্ক। আগরতলা : রাত পোহালেই বাঙালির এক ঐতিহ্যবাহী পার্বন জামাইষষ্ঠী। আগে এই পার্বণের বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই শাশুড়ি মায়েরা এ বাড়ি ও বাড়ি ঘুরে ঘুরে ষষ্ঠীর উপকরণ সংগ্রহ করতেন। বর্তমানে ব্যস্ত জীবনের ছন্দে বাজারেই পাওয়া যাচ্ছে ষষ্ঠীর উপকরণ। রাজধানী আগরতলার বিভিন্ন বাজারে ষষ্ঠীর উপকরণের পসরা সাজিয়ে বসেছেন অনেকেই। রবিবার জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লা পক্ষের ষষ্ঠী তিথি। এই দিন বাঙালির ঘরে ঘরে পালিত হয় ঐতিহ্যবাহী পার্বণ যার পোশাকি নাম জামাইষষ্ঠী। মেয়ের জামাই এর প্রতি সম্মান প্রদর্শন, ভালবাসা এবং পরিবারের সঙ্গে একসাথে সময় কাটানো – এই পার্বণের মূল ভাবনা। ষষ্ঠী তিথিতে সকালে উপোস করে ষষ্ঠীর পূজো দেন শাশুড়ি মায়েরা। ষষ্ঠী পূজোর উপকরণ বট গাছের চারা, বাঁশের করুল, তালপাতার পাখা, ধান, দুর্বা, করমচা ফল, পাঁচ রকমের আস্ত ফল, আম, লিচু, জাম, কাঁঠাল প্রভৃতি মরশুমি ফল, পান সুপারি এবং উপহার সামগ্রী হিসেবে নতুন বস্ত্র। এই সেদিনও জামাইষষ্ঠীর বিভিন্ন উপকরণ সংগ্রহে শাশুড়ি মায়েদের এ বাড়ি ও বাড়ি ঘুরঘুর করতে দেখা যেত। এখন ডটকমের যুগ। জীবনের ছন্দে সবাই ব্যস্ত। তাই জামাইষষ্ঠীর উপকরণ এখন বাজারেই পাওয়া যাচ্ছে। শনিবার রাজধানী আগরতলার বিভিন্ন বাজারে জামাইষষ্ঠীর উপকরণের অস্থায়ী বাজার দেখা গেল। সাধারণত গ্রাম গঞ্জের মানুষরাই এই সমস্ত উপকরণ সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে এসেছেন। তাদের কাছে রয়েছে বাঁশকরুল, করমচা ফল, বট গাছের চারা, ধান, দুর্বা থেকে শুরু করে তিল হরতকি সবকিছু।এমনকি সংশ্লিষ্ট উপকরণ দিয়ে বানানো মুঠাও বিক্রি করছেন তারা।প্রতিটি মুঠা বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ৩০ টাকায়। সাধ এবং সাধ্যের মধ্যে সামঞ্জস্য রেখে মানুষ ক্রয়ও করছেন। এক বিক্রেতা জানান, জামাইষষ্ঠীর উপকরণ গ্রাম থেকে সংগ্রহ করে বিক্রি করে দুই পয়সা লাভ কামানোর জন্যই বাজারে নিয়ে এসেছেন তিনি। বিজিকিনি ভালোই বলে জানান তিনি। উল্লেখ্য, ডটকমের এই যুগের সাথে সাজুজ্য রেখে বর্তমানে অনেক পরিবারকেই হোটেল বা রেস্তোরাঁয় জামাইষষ্ঠীর আয়োজন করতে দেখা যায়। এই উপলক্ষে হোটেল এবং রেস্তোরাঁগুলিতেও জামাইষষ্ঠীর বিশেষ মেনু থাকে। তবে অধিকাংশ পরিবারই সাধ এবং সাধ্যের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রেখে বাড়ি ঘরেই সারেন জামাইষষ্ঠীর পার্বণ।
বড় নেতারা না ডাকলে আমি যাই না, অভিমানী সুর দিলীপের কন্ঠে
সকাল সকাল ডেস্ক। কলকাতা : ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ারে সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই দিন প্রধানমন্ত্রীর সভায় দেখা যায়নি দিলীপ ঘোষকে। এবার বঙ্গে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। সাম্প্রতিক কিছু দিন ধরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পাশে দেখা যাচ্ছে না দিলীপ ঘোষকে। এ বিষয়ে শনিবার দিলীপকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, “বড় নেতারা না ডাকলে আমি যাই না। বড় নেতাদের মান-সম্মান আছে। তাঁরা যাদের ডাকেন, তারা যায়। আমি প্রয়োজনে যাই। আমার প্রয়োজন হয় না। নিজে সংগঠনের কাজ করি। প্রয়োজন পড়লে তাঁরা ডাকেন, কী করতে হবে বলেন। আমরা তা পালন করি মাত্র।” দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, “আমাদের দলের একটা শৃঙ্খলা আছে। যে বৈঠকে-অনুষ্ঠানে যেতে বলা হয়। সেখানেই যায় কর্মীরা। নেতারা কোথায় থাকবেন, দল ঠিক করে। আমরা সেটাই মেনে চলি, ওটাকেই শৃঙ্খলা বলি।”
আইপিএল এলিমিনেটর প্রিভিউ: গুরুত্বপূর্ণ তারকাদের ছাড়াই লড়াইয়ে নামছে গুজরাট টাইটানস এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স
শুক্রবার আইপিএলের ১৮তম আসরে গুজরাট টাইটানস এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্স মুল্লানপুরের মহারাজা যাদবীন্দ্র সিং স্টেডিয়ামে এলিমিনেটরে খেলতে নামছে।
টাইটানস ইতিমধ্যে দুটি ফাইনালে উঠেছে, ২০২২ সালে শিরোপা জিতেছে এবং পরের বছর রানার্স–আপ হয়েছে। এদিকে, এমআই আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে সফল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির মধ্যে একটি – তারা পাঁচটি শিরোপা চেন্নাই সুপার কিংসের সাথে যৌথভাবে সর্বোচ্চ।
মৎস্য চাষের ক্ষেত্রে অর্জন ও সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে বিশ্বব্যাংক ও এএফডি দলের ঝাড়খণ্ড সফর
সকাল সকাল ডেস্ক। রাঁচি। বিশ্বব্যাংক এবং এজেন্সি ফ্রান্সেস ডি ডেভেলপমেন্ট (এএফডি)-এর পাঁচ সদস্যের একটি দল ঝাড়খণ্ডের রাঁচি, হাজারীবাগ এবং রামগড় জেলা পরিদর্শন করেছে। এই জেলাগুলিতে প্রধানমন্ত্রী মৎস্য কিষাণ সমৃদ্ধি যোজনা (পিএমএমকেএসওয়াই)-এর অগ্রগতি সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে বিশ্বব্যাংক ও এইচডি-র পাঁচ সদস্যের দলের ঝাড়খণ্ড সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এই ক্রমে মৎস্য চাষীদের আর্থিক অবস্থার মূল্যায়ন এবং মৎস্য চাষের উন্নয়নের অর্জন সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। দলের নেতৃত্ব দেন বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র মৎস্য শিল্প মান বিশেষজ্ঞ জুলিয়ান মিলিয়ন। অন্যদিকে, এএফডি থেকে মিস অরফি সিলার্ড এবং নিধি বাত্রা, ভারত সরকার থেকে আইএ সিদ্দিকী এবং ন্যাশনাল ফিশারিজ ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (এনএফডিবি) থেকে মাসুম ওয়াহিদ অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। দলটি রাজ্যের মৎস্য চাষের ক্ষেত্রে অন্তর্দৃষ্টি অর্জনের জন্য প্রগতিশীল মৎস্য চাষী এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করেছে। দলটি প্রগতিশীল মুক্তা চাষী বুদ্ধন সিং পূর্তি এবং সেন্ট জেভিয়ার কলেজের অধ্যাপক ড. রিতেশ কুমার শুক্লার কাছ থেকে মুক্তা চাষের উপর একটি বিস্তারিত ব্রিফিং পেয়েছে, যিনি ঝাড়খণ্ডে মিষ্টি জলের মুক্তা চাষের সুবিধা এবং সম্ভাবনার উপর আলোকপাত করেছেন। দলটি ধুরওয়া, সেক্টর 2-এর প্রজ্ঞা কেন্দ্রও পরিদর্শন করেছে, যাতে ন্যাশনাল ফিশারিজ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম (এনএফডিপি)-এ মৎস্য চাষীদের নিবন্ধনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা যায়। এছাড়াও দলটি কুজুতে পরিত্যক্ত কয়লা খনিগুলিতে কেজ কালচার পদ্ধতিতে মাছ চাষ দেখে অত্যন্ত প্রভাবিত হয়েছে, যেখানে প্রায় 70 জন ব্যক্তি এই কার্যকলাপে নিযুক্ত রয়েছেন। দলের কর্মকর্তারা হাজারীবাগও পরিদর্শন করে মৎস্য চাষের ক্ষেত্রে করা উল্লেখযোগ্য কাজ সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। এই সফরের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল পিএমএমকেএসওয়াই-এর প্রভাব মূল্যায়ন করা। মৎস্য চাষীদের জীবিকার উপর এবং উন্নতির ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা। দলের সাথে ঝাড়খণ্ড সরকারের কর্মকর্তারা ছিলেন, যাদের মধ্যে অরুপ চৌধুরী, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, রামগড়, অমরেন্দ্র কুমার, যুগ্ম মৎস্য পরিচালক এবং ড. প্রশান্ত কুমার দীপক, প্রধান প্রশিক্ষক, এফএফটিসি, রাঁচি অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। মৎস্য অধিদপ্তরের মতে, এই সফর ঝাড়খণ্ডের মৎস্য চাষের ক্ষেত্রের উন্নয়ন এবং মৎস্য চাষীদের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য বিশ্বব্যাংক এবং এএফডি-র প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরবে।
২৫ মে রাঁচি আসবেন লোকসভার অধ্যক্ষ
সকাল সকাল ডেস্ক। রাঁচি। লোকসভার অধ্যক্ষ শ্রী ওম বিড়লা ২৫ মে ঝাড়খণ্ড সফরে রাঁচি আসবেন। ২৫ মে তিনি চেম্বার অফ কমার্স জামশেদপুরের প্ল্যাটিনাম জুবিলি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। চেম্বার অফ কমার্স জামশেদপুর তাদের প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর পূর্ণ করছে। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী শ্রী সঞ্জয় শেঠের সাথে চেম্বার অফ কমার্সের প্রতিনিধিদল লোকসভার অধ্যক্ষের সাথে দেখা করেছিলেন। তিনি এই অনুষ্ঠানে আসার সম্মতিও দিয়েছেন। ২৫ মে সন্ধ্যায় রাঁচিতে লোকসভার অধ্যক্ষকে এক বিশাল নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হবে। এই নাগরিক সংবর্ধনায় রাঁচি শহরের বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন। ২৫ মে রাতে বিশ্রাম নেওয়ার পর ২৬ মে লোকসভার অধ্যক্ষ আবার দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং রাঁচির সাংসদ শ্রী সঞ্জয় শেঠ জানিয়েছেন যে লোকসভার অধ্যক্ষ হিসেবে শ্রী ওম বিড়লা জির এটি প্রথম ঝাড়খণ্ড সফর। এই উপলক্ষে রাঁচিতে সামাজিক সংগঠনগুলির দ্বারা তার বিশাল নাগরিক সংবর্ধনার প্রস্তুতি চলছে।
রাঁচি – হাতিয়া – বানো রেলপথে নিবিড় টিকিট পরীক্ষা ও সচেতনতা অভিযান
সকাল সকাল ডেস্ক। রাঁচি রাঁচি রেল বিভাগ যাত্রীদের ভ্রমণকে আরও সহজ এবং সুবিধাজনক করার জন্য ক্রমাগত চেষ্টা করছে। বিভাগের লক্ষ্য হল বৈধ (bona fide) যাত্রীদের ভ্রমণের সময় কোনো ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হতে না হয় তা নিশ্চিত করা। এই লক্ষ্যে, বাণিজ্যিক বিভাগ 16 মে 2025 তারিখে রাঁচি – হাতিয়া – বানো রেলপথে একটি নিবিড় টিকিট পরীক্ষা ও সচেতনতা অভিযান পরিচালনা করে। বিভাগীয় রেল ব্যবস্থাপক শ্রী জসমিত সিং বিন্দ্রার নির্দেশনায়, বাণিজ্যিক বিভাগের কর্মকর্তা, প্রধান বাণিজ্যিক পরিদর্শক, টিকিট পরিদর্শক এবং অন্যান্য কর্মচারীরা রেল সুরক্ষা বাহিনী (RPF) এবং রাজ্য রেল পুলিশ (GRP) এর কর্মীদের অংশগ্রহণে এই অভিযান পরিচালনা করেন। এই বিশেষ অভিযানের অধীনে, সকাল 4:30 টায় হাতিয়া স্টেশন থেকে একটি বিশেষ ট্রেন (যার নাম “তাহালকা” দেওয়া হয়েছিল) দ্বারা যৌথ তদন্ত দল পাঠানো হয়েছিল। যৌথ তদন্ত দল রাঁচি – হাতিয়া – বানো রেলপথে ট্রেন সংখ্যা 13352 আল্লাপুঝা – ধানবাদ এক্সপ্রেস, ট্রেন সংখ্যা 12836 স্যার এম বিশ্বেশ্বরাইয়া টার্মিনাল, বেঙ্গালুরু – হাতিয়া এক্সপ্রেস, ট্রেন সংখ্যা 18452 পুরী – হাতিয়া এক্সপ্রেস, ট্রেন সংখ্যা 13351 ধানবাদ – আল্লাপুঝা এক্সপ্রেস, ট্রেন সংখ্যা 18451 হাতিয়া – পুরী এক্সপ্রেস, ট্রেন সংখ্যা 22846 হাতিয়া – পুনে এক্সপ্রেস সহ মোট 21টি ট্রেনে নিবিড় টিকিট পরীক্ষা করে। পরীক্ষার সময় প্রায় 1500 অননুমোদিত যাত্রী ধরা পড়ে, যাদের কাছ থেকে রেলওয়ে আইনের বিভিন্ন ধারার অধীনে প্রায় ₹13.5 লক্ষ জরিমানা আদায় করা হয়। এর পাশাপাশি যাত্রীদের সচেতন করা হয় যে তারা যেন টিকিট ছাড়া ভ্রমণ না করে এবং ভবিষ্যতে বৈধ টিকিট নিয়েই ভ্রমণ করে। গ্রীষ্মের মরসুমের কথা মাথায় রেখে, টিকিট ছাড়া ধরা পড়া যাত্রীদের জন্য বিশুদ্ধ পানীয় জল এবং ওআরএস এর ব্যবস্থা করা হয়েছিল, যাতে তাদের সুবিধার সম্পূর্ণ খেয়াল রাখা যায়। এই অভিযানে সহকারী বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক শ্রী অনিল জেরাই এবং বাণিজ্যিক বিভাগের 32 জন কর্মচারী, রেল সুরক্ষা বাহিনীর (RPF) 17 জন সদস্য এবং GRP এর 2 জন জওয়ান অংশগ্রহণ করেন। এই তদন্ত অভিযানের ইতিবাচক প্রভাবস্বরূপ বানো স্টেশন সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে উইন্ডো টিকিট বিক্রিতেও উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা গেছে। রাঁচি রেল বিভাগ যাত্রীদের আবারও আবেদন করছে যে তারা যেন সর্বদা বৈধ টিকিট নিয়েই ভ্রমণ করে, যাতে তাদের ভ্রমণ নিরাপদ, সহজ এবং নিরবচ্ছিন্ন থাকে।
আইসিস স্লিপার সেলের দুই সদস্যকে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করল এনআইএ
সকাল সকাল ডেস্ক। মুম্বই : শনিবার আইসিস স্লিপার সেলের দুই সদস্যকে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করল এনআইএ। ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ধরা হয়ে তাদের। ধৃতদের নাম আবদুল্লা ফাইয়াজ শেখ ওরফে ডাইপারওয়ালা এবং তালহা খান। তারা দীর্ঘদিন ধরে গা ঢাকা দিয়েছিল ইন্দোনেশিয়ায়। এনআইএ সূত্রের খবর, ধৃতরা ২০২৩ সালে পুনেতে আইইডি বিস্ফোরক নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজে যুক্ত ছিল। আইসিস স্লিপার সেলের সঙ্গে যুক্ত ধৃত দুই যুবক ভারত জুড়ে বড় নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু পুলিশের কাছে সেই খবর পৌঁছতেই ধরা পড়ার ভয়ে তারা দেশ থেকে পালিয়ে যায়। মাস খানেক তারা গা ঢাকা দেয় ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায়। এর পর বছর দুই বাদে ভারতে ফেরার পরিকল্পনা করে তারা। গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়ে মুম্বই বিমানবন্দরের টার্মিনাল ২-র সামনে ফাঁদ পাতে পুলিশ। সেখান থেকেই তাদের গ্রেফতার করা হয়। সূত্রের খবর, ২০২৩ সালে জামিন অযোগ্য ধারায় ধৃত দুই যুবকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। এমনকী, তাদের ধরিয়ে দিলে পুরস্কার হিসেবে নগদ তিন লক্ষ টাকা দেওয়ার ঘোষণা হয়েছিল। কিন্তু তারা অন্য দেশে গা ঢাকা দেওয়ার জন্য গ্রেফতার করা যায়নি।