(সকাল সকাল ডেস্ক)
কলকাতা, ১৬ আগস্ট : রাজ্যজুড়ে শনিবার পালিত হল ‘খেলা হবে দিবস’। এই উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে বার্তা দিয়ে সমস্ত ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়াপ্রেমী এবং মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, মহামেডান স্পোর্টিং সহ শহর-গ্রামের সব ক্রীড়া ক্লাবকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
তিনি উল্লেখ করেন, ২০১১ সালের পর থেকে বাংলায় ক্রীড়াক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। ফুটবল, জিমন্যাস্টিক্স, যোগব্যায়াম, আর্চারি, টেবিল টেনিস সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাতীয় স্তরে সাফল্য এসেছে। যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরের বাজেটও ১২৬ কোটি থেকে বেড়ে ৮৪০ কোটি টাকায় পৌঁছেছে।
বর্তমান সরকারের সময়ে ৫৮টি স্টেডিয়াম, ৪২টি যুব হোস্টেল, ৭৯৫টি মিনি ইন্ডোর স্টেডিয়াম, ৪ হাজারের বেশি মাল্টি-জিম, ৬টি সুইমিং পুল ও ৪২৩টি খেলার মাঠ তৈরি হয়েছে। ফুটবল, মহিলা ফুটবল, তীরন্দাজি, লন টেনিস, টেবিল টেনিস, সাঁতার, রাইফেল শ্যুটিং ও ব্যাডমিন্টনের জন্য ৮টি স্পোর্টস অ্যাকাডেমি চালু হয়েছে।
‘খেলাশ্রী’ প্রকল্পে ৩৪ হাজারেরও বেশি ক্লাবকে অনুদান দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ১,৩৫২টি কোচিং ক্যাম্প, ৩৪টি ক্রীড়া সংস্থা ও বিশিষ্ট খেলোয়াড়দের আর্থিক সহায়তাও করা হচ্ছে। সন্তোষ ট্রফি জয়ী দলের ২১ জন খেলোয়াড়কে রাজ্য পুলিশ বিভাগে চাকরি দেওয়া হয়েছে।
সুন্দরবন কাপ, জঙ্গলমহল কাপ, হিমাল-তরাই-ডুয়ার্স কাপ ও রাঙামাটি কাপের মতো টুর্নামেন্টও আয়োজন করা হয়েছে। বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদদের ‘খেল সম্মান’, ‘বাংলার গৌরব’, ‘ক্রীড়াগুরু’, ‘জীবনকৃতি’ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া এভারেস্ট জয়ীদের জন্য ‘রাধানাথ শিকদার-তেনজিং নোরগে অ্যাডভেঞ্চার অ্যাওয়ার্ড’ ও তরুণী পর্বতারোহী ছন্দা গায়েনের স্মরণে ‘সাহসিকতা পুরস্কার’ চালু হয়েছে।
No Comment! Be the first one.