সকাল সকাল ডেস্ক।
কলকাতা
ভাষাভিত্তিক বৈষম্যের অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় শাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলাভাষী শ্রমিকদের উপর ‘ভাষা সন্ত্রাস’-এর বিরুদ্ধে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স (প্রাক্তন টুইটার) হ্যান্ডলে তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, “ভাষা সন্ত্রাস বন্ধ হবে, কি হবে না?”
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, গুরগাঁও, হরিয়ানা-সহ একাধিক রাজ্যে বাংলাভাষী বাসিন্দাদের হেনস্থা, আটকে রাখা এবং বেআইনি পুশব্যাকের ঘটনা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। রাজ্যের পুলিশ হরিয়ানা পুলিশের কাছ থেকে রিপোর্ট পেয়েছে, যেখানে পরিচয় যাচাইয়ের অজুহাতে মানুষকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, রাজস্থান-সহ অন্যান্য রাজ্য থেকেও বাংলার বাসিন্দাদের বাংলাদেশি বলে অভিহিত করে সরাসরি সীমান্ত পেরিয়ে পাঠিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। যদিও অভিযুক্তদের কাছে বৈধ নথিপত্র রয়েছে, তা সত্ত্বেও তাঁদের অবৈধভাবে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আধিকারিকরা ওই ব্যক্তিদের বৈধ নথির প্রতিলিপি সংগ্রহ করেছেন বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওই রাজ্যগুলিতে গরিব বাঙালি শ্রমিকদের উপর লাগাতার অত্যাচার চলছে। এটা ভয়ঙ্কর। ডবল ইঞ্জিন সরকারের রাজ্যগুলিতে বাংলাভাষীদের বিরুদ্ধে এই ধরনের আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়।” তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে সাফ প্রশ্ন ছুড়ে দেন, “আপনারা কী প্রমাণ করতে চাইছেন?”
তিনি এই ঘটনাকে ‘ভাষা সন্ত্রাস’ বলে অভিহিত করে জানান, “বাংলা এটা কখনও মেনে নেবে না। ভাষার নামে বিভাজন ও বাঙালিদের উপর অত্যাচার রুখতেই হবে।” একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ভাষা আন্দোলনের ডাকও দিয়েছেন।
বাংলাদেশি সন্দেহে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বাংলাভাষীদের আটক ও হয়রানির অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্য রাজনীতি আরও একবার উত্তাল হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই হুঁশিয়ারির প্রেক্ষিতে কেন্দ্র বা সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির তরফে কী প্রতিক্রিয়া আসে, সে দিকেই এখন নজর রাজনৈতিক মহলের।
No Comment! Be the first one.