সকাল সকাল ডেস্ক
নয়াদিল্লি. সোমবার সংসদে নয়া আয়কর বিল পেশ হবে। এই বিল এর আগে সংসদে পেশ হওয়ার পর সিলেক্ট কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছিল। কমিটি যে ২৮৫টি সুপারিশ করেছে তার বেশিরভাগই গ্রহণ করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন হল, সংশোধিত নতুন আয়কর বিলে কী কী পরিবর্তন করা হয়েছে। দেখে নেওয়া যাক? সেগুলো দেখে নেওয়া যাক এক নজরে-
১. কর ফেরত: পূর্ববর্তী খসড়ায় যে বিধান ছিল, “যদি আয়কর রিটার্ন সময়মতো দাখিল না করা হয় তবে কর ফেরত পাওয়া যাবে না,” তা সংশোধিত সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এখন, সময়সীমা অতিক্রম করলেও কর ফেরত দাবি করা যাবে।
২. ইন্টার-কর্পোরেট ডিভিডেন্ড: সেকশন ৮০এম ডিডাকশন পুনরুদ্ধার করা হয়েছে, যা পূর্ববর্তী খসড়ায় বাদ পড়েছিল। এটি এমন কোম্পানির জন্য প্রযোজ্য যারা সেকশন ১১৫বিএএ-র অধীনে বিশেষ কর হার গ্রহণ করে।
৩. নিল টিডিএস সার্টিফিকেট: কিছু শর্তে নিল টিডিএস সার্টিফিকেট গ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে কোনও উৎস থেকে কর কেটে নেওয়া হবে না।
৪. অজ্ঞাত দান: শুধুমাত্র ধর্মীয় ট্রাস্টে অজ্ঞাত দান থেকে কর অব্যাহতি দেওয়া হবে, তবে সামাজিক সেবা যেমন হাসপাতাল বা স্কুল চালানোর জন্য যে ট্রাস্ট গুলি রয়েছে, তাদের উপর এটি প্রযোজ্য হবে না।
৫. ডিজিটাল প্রক্রিয়া: নতুন বিলটি ট্যাক্স প্রক্রিয়াকে আরও ডিজিটাল, অটোমেটেড এবং মুখহীন করার দিকে মনোযোগী, যাতে সুবিধা বাড়ানো এবং দুর্নীতির সুযোগ কমানো সম্ভব হয়।
ক্যাপিটাল গেইনস ট্যাক্স নিয়ে স্পষ্ট কথা: কয়েকটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, নতুন বিলটি ক্যাপিটাল গেইনস ট্যাক্সের হার পরিবর্তন করতে পারে সরকার। তবে আয়কর বিভাগ এই জল্পনা অস্বীকার করেছে এবং জানিয়েছে যে, এই বিলে ভাষার সরলীকরণ এবং অব্যবহৃত বা অপ্রয়োজনীয় বিধানগুলি মুছে ফেলার উদ্দেশ্য রয়েছে, করের হার পরিবর্তন করা নয়।
বিবেক জালান, ট্যাক্স কনেক্ট অ্যাডভাইজরি সার্ভিসেসের পার্টনার, বলেছেন, “ফেব্রুয়ারি মাসের পূর্ববর্তী আয়কর বিলে যে ধারাটিতে বলা হয়েছিল যে সময়মতো রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক এবা তা না করলে রিফান্ড পাওয়া যাবে না, তা বিভ্রান্তিকর ছিল, তাই এটি শেষ খসড়া থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।”
আয়কর আইন, ১৯৬১, যা ১৯৬২ সালের ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছে, ৬৫ বার সংশোধিত হয়েছে এবং এতে ৪,০০০টিরও বেশি সংশোধনী রয়েছে। নতুন বিলটি এই পুরনো আইনটিকে সম্পূর্ণভাবে প্রতিস্থাপন করার উদ্দেশ্য নিয়ে পেশ করা হবে।
১১ আগস্ট, ২০২৫-এ যখন সরকার সংশোধিত বিলটি লোকসভায় পেশ করবে, তখন এটি শুধু ছয় দশক পুরনো কর আইনকে প্রতিস্থাপন করবে না, বরং করদাতাদের জন্য সহজতর প্রক্রিয়া এবং অভিজ্ঞতা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
No Comment! Be the first one.